রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

করোনা শনাক্তে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার নেই

করোনা শনাক্তে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার নেই

স্বদেশ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়েই চলছে দেশের বাইরে থেকে আসা দেশি বিদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও দীর্ঘ সাত মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অপরদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে কোন থার্মাল স্ক্যানার নেই।

এদিকে, চিকিৎসকরা বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিবরণী তৈরি করে তাদের আগামী ১৪ দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। চলিত বছেরর প্রথম দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ২০ জানুয়ারি থেকে সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।

জানা গেছে, এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করলেও করোনাভাইরাস শনাক্তে প্রতিদিন ৯ জন চিকিৎসক পালা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ করোনা শনাক্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও সেটিকে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন বিদেশ ফেরত যাত্রীরা।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়। কিন্তু সাত মাস আগে এ স্ক্যানার মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ৫টি হ্যান্ডহেল্ড মেশিনই এখন আন্তজার্তিক এই বিমানবন্দরটির স্ক্যানারভরসা।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার মাহমুদ আকতার বলেন, ‘চীন থেকে সরাসরি ফ্লাইট চট্টগ্রামে আসে না। তবে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান হয়ে আসা ফ্লাইটগুলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। চিকিৎসক দলে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চারজনের একটি চিকিৎসক দল পালা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাজ করছেন। থার্মোমিটার ব্যবহার করে তারা যাত্রীদের জ্বর পরীক্ষা করেন। তবে কোনো থার্মাল স্ক্যানার নেই এখানে।’

বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এজেডএ শরীফ জানান, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও পাঁচটি হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার সংগ্রহ করেছেন। এ বিমানবন্দরের একমাত্র চিকিৎসকও তিনিই। তবে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর আরও পাঁচজন চিকিৎসককে সাময়িকভাবে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

সুত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরেও করোনাভাইরাস শনাক্তে নেই কোনো থার্মাল স্ক্যানার। বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজগুলোতে থাকা নাগরিকদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রেখে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তিনজন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে তাদের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877